কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কচু শাক খনিজ ফাইবার, ভিটামিন ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার। সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য পরিমিত মাত্রায় কচু শাক খাওয়া উচিত। 

কচু-শাকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

কচু শাক আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সুস্থ জীবন যাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে আনাচে-কানাচে কচু শাক জন্মাতে দেখা যায়। এটি সহজলভ্য এবং অত্যন্ত উপকারী একটি শাক।

পেজ সূচীপত্রঃ কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু জেনে নিই। কচু শাকের উপকারিতা অর্থাৎ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলে শেষ করা কঠিন। কচু শাক আমাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরবৃত্তিয় কাজে সহায়তা করে। কচু শাক একটি ফাইবার সমৃদ্ধ শাক। এটি আমাদের দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে ইত্যাদি। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সহায়ক। কচু শাক হৃদপিন্ডের যে সকল রোগের ঝুঁকি থাকে সেগুলোকে অনেকাংশেই কমিয়ে আনে।

আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ

আমরা সকলেই জানি যে জিনিসের উপকারী গুণ রয়েছে তার সামান্য পরিমাণ হলেও অপকারী গুনও থাকে। কচু শাকও তার ব্যতিক্রম নয়। কচু শাকের উপকারিতা অনেক অনেক বেশি হলেও সামান্য কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, কচু শাক খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কচুশাকে অক্সালেট নামক একপ্রকার রাসায়নিক থাকায় মাঝেমাঝে কোন কোন কচু শাক খাওয়ার পর গলা চুলকাতে পারে। তবে সব কচুতে গলা চুলকায় না। যে সকল কচু ছায়াযুক্ত এবং স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে জন্মায় সেগুলোতে সাধারণত গলা চুলকায়।

পুষ্টিকর খাবার কচুশাক

অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার কচু শাক। কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, শর্করা, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, থায়ামিন, স্নেহ, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। সুতরাং দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতগুলো পুষ্টিগুণ এই কচু শাকের মধ্যে রয়েছে। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের বিভিন্ন উপকারে আসে। আমাদের দেহের ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধি সাধন সহ বিভিন্ন কাজে কচু শাক ভূমিকা রাখছে। সুতরাং কচু শাক খাওয়ার মাধ্যমে আমরা একসাথে অনেকগুলো উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করাতে পারি।

কচু শাক আমাদের দেশে সহজলভ্য। এটি গ্রাম অঞ্চলে বাড়ি আনাচে-কানাচে, পথের ধারে ইত্যাদি জায়গায় জন্মাতে দেখা যায়। আমাদের দেশের মানুষ যারা দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে, তাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য কচু শাক হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কারণ কচুশাক সহজলভ্য হওয়ায় এটি অত্যন্ত সস্তা। অনেক সময় ক্রয় করার প্রয়োজন পড়ে না। বাড়ির আশেপাশ থেকে একটু কষ্ট করে তুলে এনে রান্না করা যায়। এভাবে কচু থেকে পুষ্টিগুণ আহরণ করা সম্ভব। যেহেতু অনেকগুলো পুষ্টিগুণ খাবারে রয়েছে সুতরাং এটি আমাদের জন্য হতে পারে পুষ্টি চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস।

রোগ প্রতিরোধে কচু শাক

কচু শাক রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ । আমরা জানি ভিটামিন এ চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে চোখের ছানি পড়া, রাতকানা রোগ। কচু শাক দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে । এছাড়া ভিটামিন এ আমাদের চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাহলে যারা রাতকানা রোগী রয়েছেন তারা যদি নিয়মিত কচু শাক খাই তাহলে তাদের এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে।

আমাদের দেশে চোখে ছানি পড়া খুবই কমন একটি রোগের মধ্যে চলে এসেছে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই এ সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন চিকিৎসকের সরণাপণ্য হচ্ছেন। সুতরাং এই সমস্যা থেকে যদি বাঁচতে চান তবে কচু শাক খাওয়ার বিকল্প নেই। কথায় আছে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। রোগ হওয়ার পরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া কষ্টকর একটি বিষয়। যে সময়টা আপনি অসুস্থ থাকবেন সেই সময় আপনি কষ্টের মধ্যে থাকবেন। সুতরাং যদি রোগ হওয়ার আগেই আপনি প্রতিকার করতে পারেন তাহলে সেই রোগ থেকে বেঁচে গেলে আপনার সময় অর্থ এবং কষ্ট সবগুলো থেকে মুক্তি পাবেন। কচু শাক খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তিও বৃদ্ধি পাবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কচুশাক

কচু শাক হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কচুশাক একটি আঁশ জাতীয় খাবার আঁশ জাতীয় খাবার সরাসরি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে না। তবে আঁশ জাতীয় খাবার আমাদের পরিপাকে সহায়তা করে অর্থাৎ আমাদের পরিপাক ক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য আঁশ জাতীয় খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর কচু শাক যেহেতু আঁশ জাতীয় খাবার সেহেতু এই কচুর শাক সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের জন্য কচু শাক হতে পারে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান।

কোষ্ঠকাঠিন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে একমাত্র তারাই জানেন এর কষ্ট কি। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করেন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য। যেমন কেউ কেউ ইসুবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন, কেউ কেউ ডাল জাতীয় খাবার আবার কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় কাজ হয় আবার অনেক সময় খুব একটা উপকার হয় না। এক্ষেত্রে আপনার উপকারে আসতে পারে কচু শাক। সহজলভ্য এই কচু শাক আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে বেশ ভালো কার্যকরী হতে পারে। সুতরাং বলা যায় হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কচু শাকের ভূমিকা রয়েছে যা অনস্বীকার্য।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে কচু শাকের গুরুত্ব

কচু শাক রক্তের খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা অনেক কমিয়ে দেয়। সকল মানবদেহে কোলেস্টরেল রয়েছে। তবে কিছু খারাপ কোলেস্টেরল রয়েছে যেগুলো আমাদের মানব দেহের ক্ষতি করে। এই কচুশাক সেসকল কোলেস্টরেল এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। আর কোলেস্টেরল কমে যাওয়ার ফলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের রক্তচাপ অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল সমস্যা রয়েছে তারা কচু শাক খেলে এ সকল সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

কচু শাকের বিভিন্ন খনিজ উপাদান গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য অনেক উপকারী। বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে গর্ভবতী মায়েরা অনেক সময় অপুষ্টিতে ভোগেন। এক্ষেত্রে দারিদ্রতা একটি বড় কারণ। যারা দরিদ্র তারা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে যদি গর্ভবতী মায়েরা এই কচুর শাক খেতে পারেন তাহলে গর্ভবতী মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই উপকার হবে। এছাড়া বর্তমান সময়ে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার খুবই কমন একটি রোগে পরিণত হয়েছে। অনেক মানুষ বর্তমানে এ দুটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে যদি কচু শাক নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে এই কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যাই।

রক্তশূন্যতা দূর করতে কচুশাকের ব্যাবহার

রক্তশূন্যতা দূর করতে কচু শাকের বিকল্প নেই। কচু শাক-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আইরন। আমরা সকলেই জানি আয়রন আমাদের দেহের রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। রক্তের প্রধান উপাদান হিমোগ্লোবিন। এই হিমোগ্লোবিন লৌহিত রক্তকণিকায় উৎপন্ন হয়। লোহিত রক্তকণিকায় আয়রন মৌলিক উপাদান। যে কারণে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন এর জন্য আইরন অপরিহার্য। পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন গ্রহণ করলে রক্তের উৎপাদন বেড়ে যায়। আইরন হিমোগ্লোবিনের সাথে অক্সিজেনকে ধরে রাখতে সহায়তা করে, ফলে শরীরের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে যায়।

বর্তমান সময়ে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা রোগটির প্রাদুর্ভাব আমাদের দেশে অনেক বেড়ে গেছে। এখন অনেক শিশু বাচ্চাদের জন্ম থেকেই এই অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক বড় মানুষও এ রক্তশূন্যতাই ভোগেন। তাদের জন্য আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অনেকে আইরন এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য ঔষধ সেবন করে থাকেন। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য কচু শাক হতে পারে অন্যতম এক বিকল্প। তাই যাদের রক্তশূন্যতা বা এ জাতীয় রোগ রয়েছে তাদের জন্য কচু শাক বলা যায় অত্যাবশ্যক একটি খাবার।

হাড় ও দাঁতের গঠনে কচুশাকের উপকারিতা

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি অংশ হাড় ও দাঁত। এই হাড় ও দাঁতের গঠনে কচু শাক অত্যন্ত কার্যকরী। কচু শাকে রয়েছে ‘ফোলেট’ নামক একটি উপাদান, যা হাড় ও দাতের গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কচু শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। আমরা জানি আমাদের হাড়ের এবং দাঁতের প্রধান উপাদান হলো ক্যালসিয়াম। সুতরাং এই কচু শাক থেকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আমরা পাই, যা আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও এটি ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় হয়। যেমন বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে যে হাড়গুলো রয়েছে সেগুলো আস্তে আস্তে ক্ষয় হতে থাকে। আমাদের শরীরের আরও যে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আছে সেগুলোর অনেক উপাদান রয়েছে যেগুলো ক্ষয় হয়ে যায়। এ সকল ক্ষয় রোগেও কচুশাক উপকারী। আরো একটি সমস্যা রক্তপাত। এই রক্তপাত হতে মুক্তি দিতে কচু শাকের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে যা থেকে কচু শাক আমাদের মুক্তি দেয় । 

আরো পড়ুনঃ আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ সংগ্রহ করুন ফ্রিতে

কচু শাকের অপকারিতা

কচু শাক আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও এর সামান্য কিছু অপকারিতা রয়েছে। আসলে এটি ব্যক্তি বিশেষে সমস্যা সৃষ্টি করে, সার্বজনীন নয়। কচু শাকের অপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কচু শাকের আরো কিছু অপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল কচু শাক খেলে অনেক সময় গলা চুলকাতে পারে। এছাড়াও যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কচু শাক খেলে চুলকানি বা এলার্জির জনিত রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গলা চুলকানোর যে সমস্যা তার সহজ সমস্যার সমাধান রয়েছে। কচুতে অক্সালেট নামক একটি উপাদান থাকায় অনেক সময় কচু শাক গলাতে চুলকানো সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে কচু শাক রান্নার সময় এর মধ্যে একটু লেবুর রস অথবা ভিনেগার (যাকে বাংলায় শিরকা বলা হয়) মিশিয়ে দিলে গলা চুলকানোর যে সমস্যা সে সমস্যা থেকে খুব সহজেই পরিত্রান পাওয়া যায়। এরপরেও যদি কারো গলা চুলকায় তবে তার কচু শাক খাওয়া ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে কচু শাক না খাওয়াই উত্তম।সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে অপকারিতা যেটুকু রয়েছে তাও সমাধানযোগ্য।

কচুশাকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি

কচু শাকের অপকারিতার মধ্যে অন্যতম আরো একটি অপকারিতা হচ্ছে কচুশাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি করে। আমরা আগেই জেনেছি কচু শাক আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। কচু শাকে যেহেতু ফাইবার জাতীয় পদার্থ রয়েছে সুতরাং এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এবং আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে, যারা নিয়মিত এসিডিটি সমস্যায় ভুগেন তাদের ক্ষেত্রে কচু শাক খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক বৃদ্ধি পেতে পারে।

কচু-শাকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

তবে এটি সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এটি ব্যক্তি বিশেষে কারো কারো ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ সমস্যা সৃষ্টি হয় না। যেহেতু এটি ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেহেতু এটি সার্বজনীন সমস্যা বলার সুযোগ নেই। আসলে এক্ষেত্রে বলা যায় কচু শাকের যে অপকারিতা আমরা দেখতে পাই তা খুবই সামান্য। এগুলোকে আমরা সমস্যায় হিসেবে না চিহ্নিত করে বিশেষ কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হিসেবে ধরে নিতে পারি। এক্ষেত্রে বলা যায় ব্যতিক্রম উদাহরণ হতে পারে না। সুতরাং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুব বড় ধরনের অপকারিতা তা বলা যায় না।

উপসংহারঃ কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমরা উপরের আর্টিকেলে সরবরাহ করার চেষ্টা করেছি। কচু শাকের উপকারী গুণের কোন শেষ নেই এর ভেতরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শাড়িরবৃত্তি ও কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কচু শাক আমাদের জন্য যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাও অস্বীকার করার কোন সুযোগই নেই কচু শাক হতে পারে আমাদের গ্রামীণ জনজীবন এবং সকল মানুষের জন্যই পুষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। যা উপরের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়লে স্পষ্ট হওয়া যাবে।

যেহেতু কচু শাক আমাদের দেশে অত্যন্ত সহজলভ্য এবং সুস্বাদু, সুতরাং উপকারের কথা চিন্তা করে আমাদের সকলের উচিত কচু শাক নিয়মিত খাওয়া। এর ফলে আমরা সকলে সুস্থ থাকতে পারবো। বিভিন্ন রোগ থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারবো। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে পারব। আমরা কচু শাকের বিষযয়ে অনেক কিছুই জানলাম এছাড়া “কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা”- এ সম্পর্কে যে কোনো মতামত বা জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টে বক্সে প্রকাশ করুন। এমন আরও প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত বাংলা আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফোটেক অ্যাডভাইজারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url