বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ
আপনি কি বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। একটি ভালো বাংলা আর্টিকেল লিখার জন্য প্রথমেই যে বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে সেগুলো হলো একটি উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন এবং একটি আকর্ষনীয় শিরোনাম দেওয়া।
পোস্ট সূচীপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ
- বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ
- আর্টিকেল কি?
- শিরোনাম নির্বাচন
- ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন
- আর্টিকেল অ্যালাইনমেন্ট
- লেখাগুলোকে প্যারাগ্রাফ আকারে লিখা
- নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যাবহার
- ফিচার ইমেজ যুক্ত করা
- উপসংহার যুক্ত করা
- কপিরাইট বিষয়ে সতর্ক থাকা
- উপসংহারঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ
বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ
আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ আত্মস্থ করতে পারেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি দৃষ্টিনন্দন ও পাঠক আকৃষ্টকারী হবে। সহজ ও সাবলিল ভাষায় লিখা এবং পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখায় হবে আপনার মূল লক্ষ। সঠিক নিয়মে বাংলা আর্টিকেল লিখলে তা হবে আপনার পাঠকের জন্য তথ্যপূর্ণ ও উপকারী । আর্টিকেল এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে করে আপনার আর্টিকেল পড়ে আপনার পাঠক আপনার লিখার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং পরবর্তীতে সে আপনার লেখা পড়ার জন্য আগ্রহী হয়।
যে কোনো কাজ শুরু করার আগে সেই বিষয়ে ধারনা থাকা অত্যান্ত জরুরী। যেমন আপনি যখন আর্টিকেল লিখছেন তখন আর্টিকেল বিষয় টা কি তা জানতে হবে, এর নিয়ম কানুন গুলো কি কি সে বিষয়ে আপনার ধারনা থাকতে হবে। আপনার পাঠক কারা এবং তারা কি ধরনের লেখা পড়তে আগ্রহী সে সম্পর্কে আপনার পূর্ণ ধারনা থাকতে হবে। পাঠকের চাহিদার দিকে লক্ষ রাখা লেখক হিসেবে আপনার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সেসব বিষয়ে লক্ষ রেখে নিম্নে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলির বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-
আর্টিকেল কি?
কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে কোনো লিখা প্রকাশ করা হলে তাকে আর্টিকেল বলে। আর্টিকেল একজন পাঠককে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ধারনা দেয়। আর্টিকেল অনেক ধরনের হতে পারে, যেমনঃ কোনো বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা (তথ্যভিত্তিক), গবেষনার ফলাফল (বিশ্লেষনধর্মী) কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তি সম্পর্কে (মতামত ভিত্তিক) আলোচনা ইত্যাদি। বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে সহজ ও সাবলিল ভাষার ব্যাবহার এবং চটকদার বাক্য পাঠককে আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। বাংলা আর্টিকেল লিখার সময় আপনার অবশ্যয় খেয়াল রাখা উচিৎ কিভাবে প্রথম দেখাতেই পাঠকদের আগ্রহী করে তোলা যায় এবং তথ্যগুলো পাঠক সহজেই মনে রাখতে পারে।
আপনি যখন কোনো তথ্য ভিত্তিক আর্টিকেল লিখছেন তখন পারিপার্শিকের সাথে মিল রেখে আলোচনা করুন তাতে পাঠক বাস্তবতার সাথে মিল খুঁজে পাবে এবং পাঠকের জন্য তা সহজবোধ্য হবে। আবার যখন মতামত ভিত্তিক কোনো আর্টিকেল লিখছেন তখন আপনার মতামতের পক্ষে কিছু বাস্তব ভিত্তিক যুক্তি উপস্থাপন করুন ফলে পাঠক আপনার আর্টিকেলটি সহজেই বুঝতে পারবে। এভাবে যে কোনো আর্টিকেল লিখার সময় গল্পের মত করে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারলে পাঠকের মনে হবে সে আপনি অর্থাৎ লেখকের সাথেই গল্প করছে। ফলশ্রুতিতে আপনার পাঠকের আপনার লেখার প্রতি সিমাহীন আগ্রহ জন্মাবে।
শিরোনাম নির্বাচন
শিরোনাম হলো কোনো আর্টিকেলের সারাংশ, অর্থাৎ এক লাইনে সম্পূর্ণ আর্টিকেল সম্পর্কে ধারনা প্রদান। আপনার আর্টিকেলের শিরোনামটি এমন হবে যাতে করে পাঠকের মনোযোগ প্রথম দেখাতেই আপনার আর্টিকেলে আটকে যায়। এটি যত আকর্ষনীয় এবং মুখরোচক হবে, এটি তত আপনার পাঠকদেরকে আপনার আর্টিকেলের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। শিরোনাম এমন লিখতে হবে যেনো আপনার পাঠক নিজের অজান্তেই শুধুমাত্র শিরোনাম দেখে আপনার আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হয়।
কথায় আছে আগে দর্শনধারী তারপর গুন বিচারী। অর্থাৎ যে কোনো বিষয় প্রথমে ভালো লাগা প্রয়োজন, কোনো বিষয় যদি আপনার ভালো না লাগে তাহলে তার গুনের বিচার আপনি করবেন না সেটাই স্বাভাবিক। সুতরাং আপনার আর্টিকেল যতই গুন সম্পন্ন বিষয়ে লেখা হোক না ক্যানো তা যদি পাঠকের মনকে আকৃষ্ট না করতে পারে তবে আপনি পাঠক সংকটে পড়তে পারেন। আর পাঠককে আকৃষ্ট করার প্রথম এবং সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো শিরোনাম। সুতরাং বাংলা আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে শিরোনাম নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ ইনফোটেক অ্যাডভাইজার
ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন
মানব শরীরের জন্য হৃৎপিন্ড যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বাংলা আর্টিকেল লিখার জন্য ফোকাস কিওয়ার্ড ঠিক একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ ফোকাস কিওয়ার্ডকে কোনো আর্টিকেলের হৃৎপিন্ড। ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া কোনো আর্টিকেলকে যে কোনো সার্চ ইন্জিনের প্রথম পেজে আনা সাধারনত খুবই কঠিন। এখন প্রশ্ন হলো ফোকাস কিওয়ার্ড জিনিস টা কি? তাহলে চলুন জেনে নিই ফোকাস কিওয়ার্ড কি। মনে করেন, কোনো একটি বিষয়ে আপনি জানতে চান। তাহলে প্রথমেই আপনি কি করবেন? নিশ্চয় কোনো একটা ব্রাউজার খুলে যে কোনো একটা সার্চ ইন্জিনে গিয়ে সার্চ করবেন। এখন বলেন কি লিখে সার্চ করবেন?
নিশ্চয় “বাংলা আর্টিকেল গুলি কোন নিয়মে লিখতে হয়” এমন কিছু, এইযে যেটা লিখে সার্চ করলেন সেটাকেই বলা হচ্ছে ফোকাস কিওয়ার্ড। মূল কথা হলো মানুষ কোনো কিছু জানার জন্য গুগলে বা যে কোনো সার্চ ইন্জিনে যা লিখে সার্চ করে সেটায় ফোকাস কিওয়ার্ড। কোনো একটি বিষয় জানার জন্য মানুষ বিভিন্ন ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যাবহার করে। যেমন ধরুন মোটা হওয়ার উপায় জানতে মানুষ কি ধরনের ফোকাস কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো-
- মোটা হওয়ার উপায়
- কিভাবে মোটা হওয়া যায়
- কি খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়
- মোটা হতে কি কি করা প্রয়োজন
আর্টিকেল অ্যালাইনমেন্ট
আর্টিকেল অ্যালাইনমেন্ট বলতে আর্টিকেলের লেখাগুলো আনুভুমিকভাবে ভাবে কিভাবে সাজানো থাকবে তা বুঝানো হয়। আর্টিকেলের লেখাগুলো বেশ কয়েকটি নিয়মে সাজানো থাকে। সেগুলো হলো, বাম দিক থেকে, ডান দিক থেকে, মাঝ বরাবর এবং জাস্টিফাই। বাম দিক থেকে সাজানোর অর্থ লাইনগুলো সবসময় বাম দিক থেকে শুরু হবে। ডান দিক থেকে সাজানোর অর্থ লাইনগুলো সবসময় ডান দিক থেকে শুরু হবে। মাঝ বরাবর সাজানোর অর্থ লাইনগুলো সবসময় মাঝখান থেকে শুরু হবে। এবং জাস্টিফাই অর্থ লেখা গুলো ডানে এবং বামে মার্জিনের সাথে লেগে থাকবে।
সাধারনত বাংলা আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে, লিখা গুলোকে জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্টে রাখতে হয়। এতে করে লেখা গুলো বইয়ের লেখার মত হয় এবং পাঠকদের পড়তে সুবিধা হয়। সাধারনত পত্রিকা গুলো এবং বই লিখার ক্ষেত্রে জাস্টিফাই ফরমেট ব্যাবহার করা হয়। আর ছবি গুলোকে রাখা হয় সেন্টার অ্যালাইনমেন্টে। এতে করে ছবিগুলো একদম মাঝ বরাবর থাকে এবং আর্টিকেলকে দর্শনীয় করে তোলে। আর আর্টিকেল যত দর্শনীয় হবে পাঠক তত বেশি আপনার আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হবে।
লেখাগুলোকে প্যারাগ্রাফ আকারে লিখা
অনেক বড় আর্টিকেল গুলোকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লিখলে পাঠকদের পড়তে সুবিধা হয়। আর্টিকেলের বিভিন্ন বিষয়গুলোকে আলাদা প্যারাগ্রাফ করে প্রতিটি প্যারাগ্রাফের একটি মূল পয়েন্টকে ফোকাস করে তার ব্যাখ্যা দিবেন। এতে পাঠকের কাছে বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমিক ভাবে বুঝতে সুবিধা হবে। বড় লেখা একসাথে দেখলে তা প্রথম দেখাতেই বিরক্তিকর বলে মনে হবে কিন্তু যখন তা প্যারাগ্রাফ আকারে সাজানো থাকবে তখন তা পড়তে পাঠক সাচ্ছন্দ বোধ করবে এবং বিষয় গুলো মনে রাখা পাঠকের জন্য সহজ হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হয় “পরিবেশের উপাদান সমূহ” তাহলে আপনি পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান গুলোকে আলাদা আলাদা প্যারাগ্রাফে পয়েন্ট করে লিখতে পারেন। যেমন আপনি একটি প্যারাগ্রাফে “পানি”-কে পয়েন্ট নির্ধারন করলেন। এখন সেই প্যারাগ্রাফে আপনি পানি সম্পর্কে লিখেন। এর পর যথাক্রমে মাটি, বায়ু, গাছপালা ইত্যাদি পরিবেশের উপাদান গুলোকে আলাদা আলাদা প্যারাগ্রাফ হিসেবে লিখুন, তাতে করে আপনার পাঠক পড়ার সময় সাচ্ছন্দ বোধ করবে।
নাম্বার ও বুলেট পয়েন্ট ব্যাবহার
নাম্বার এবং বুলেট পয়েন্ট আপনার বাংলা আর্টিকেল লিখা কে আরেও আকর্ষনীয় করে তুলতে সাহায্য করে। এটি ব্যাবহারের ফলে লিখা দেখতে সহজ ও পড়তে আনন্দদায়ক হয়। বুলেট পয়েন্ট ও নাম্বারিং আর্টিকেলের লেখাগুলোকে সুসংগঠিত, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং পাঠকের জন্য সহজে বোধগম্য করে তোলে। অনেক বড় আর্টিকেলের মধ্যে বুলেট পয়েন্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য হাইলাইট করে পাঠকের সামনে তুলে ধরা যায়। অপরদিকে কোনো তথ্য ক্রমানুসারে সাজানোর জন্য নাম্বারিং এর কোনো বিকল্প নাই।
যেমন ধরেন, আপনি কোনো বিষয়ে ৫ টি টিপস দিবেন। সেখানে যদি গদ্য আকারে টিপস গুলো লিখে রাখেন তাহলে পাঠক যখন পড়বে তখন সেটিকে তার গল্পের মত মনে হবে। পয়েন্ট গুলোকে আলাদা করতে সমস্যা হবে আর যদিওবা আলাদা করতে সক্ষম হয় তার জন্যও তাকে অনেক বেগ পেতে হবে। কিন্তু আপনি যদি বুলেট পয়েন্ট বা নাম্বার ব্যাবহার করেন পাঠক সহযে প্রতিটি পয়েন্ট আলাদা আলাদা পাবে এবং সহযেই তা বুঝতে পারবে। যে কারনে নাম্বার ও বুলেট পয়েন্টের ব্যাবহার আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়
ফিচার ইমেজ যুক্ত করা
ফিচার ইমেজ আটিকেল রাইটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। ফিচার ইমেজ আপনার ব্লগ পোস্টের শিরোনামের সাথে সবার সামনে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া আপনি আপনার ব্লগ পোস্টটি সোসালমিডিয়া বা অন্য কোনো মাধ্যমে শেয়ার করলে সেখানেও এই ফিচার ইমেজটি প্রদর্শিত হয়। যে সম্পর্কে আর্টিকেল লিখা হবে সেই সম্পর্কিত একটি ছবি ফিচার ইমেজ হিসেবে যুক্ত করা হলে পাঠক আকর্ষনে সুবিধা হয় । এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ইমেজ বিষয় সম্পর্কে এক দেখাতেই অনেক তথ্য পাঠকের মস্তিষ্কে প্রেরন করে ।
ফিচার ইমেজ আপনার ব্লগ পোস্টটিকে আরও বাস্তব করে তোলে। পাঠক আর্টিকেল পড়ার সাথে সাথে যখন সংশ্লিষ্ট ছবিও দেখতে পায় তখন পাঠক আপনার আর্টিকেলের বিষয় বস্তু আরো সহজে বুঝতে পারে। যেমন আপনি যদি পাহাড়ে ভ্রমন সম্পর্কে আর্টিকেল লিখেন তাহলে একটি আকর্ষনীয় পাহাড়ের ছবি দিয়ে দিবেন। এতে করে পাঠক এক দেখাতেই বুঝে যাবে আপনি আপনার পাঠককে পাহাড় সম্পর্কিত কিছু তথ্য দিতে চাচ্ছেন। সে কারন্যেই যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সে সম্পর্কিত ইমেজকে ফিচার ইমেজ হিসেবে ব্যাবহার করা আপনার জন্য প্রয়োজনীয়।
উপসংহার যুক্ত করা
কোনো আর্টিকেলের শেষে উপসংহার যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। উপসংহার পাঠককের কাছে পুরো আর্টিকেলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে। এখানে আর্টিকেলের মূল পয়েন্ট গুলিকে তুলে ধরা হয়। এখানে লেখক আলোচ্য বিষয় সম্পর্কিত নিজস্ব মতামত দিতে পারেন যাতে করে পাঠক লেখকের অর্থাৎ আপনার মত জানতে পারে। উপসংহারে আপনি দুটি অংশ রাখতে পারেন, একটি হলো লেখক অর্থাৎ আপনার নিজস্ব মতামত আর অন্যটি হলো আর্টিকেলটির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে মূল বিষয়বস্তু পাঠককে মনে করানো।
যেমন ধরুন আপনি “প্রযুক্তি কিভাবে আমাদের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করেছে” এই বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন তাহলে উপসংহারে আপনি লিখতে পারেন, “প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করেছে। এই ব্লগ পোস্টে প্রযুক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা আপনার প্রযুক্তির ব্যাবহার, রক্ষনাবেক্ষন ইত্যদি বিষয়ে ধারনা প্রদান করবে। এ বিষয়ে আপনি আরো কিছু জানতে চাইলে কমেন্টে জানান।” খেয়াল রাখবেন যেনো আপনার আর্টিকেলটির একটি স্বাভাবিক সমাপ্তি হয়, পাঠকের ওপর জোর পূর্বক কিছু চাপিয়ে দিবেন না। একটি আদর্শ আর্টিকেল পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন।
কপিরাইট বিষয়ে সতর্ক থাকা
একজন আর্টিকেল রাইটারের মৌলিক লেখাগুলোকে সুরক্ষিত করতে কাজ করে কপিরাইট। একজন লেখকের লেখা যাতে কেও চুরি, অনৈতিক ব্যাবহার বা পুনঃপ্রকাশ না করতে পারে সেই কাজটিই করে কপিরাইট। একজন লেখক নিজের মেধাশ্রমকে কাজে লাগিয়ে কোনো লেখা লিখে থাকে, সুতরাং সে লেখার স্বত্বাধিকারীও লেখক নিজে। তার পরিশ্রমের যথপোযুক্ত সম্মানের দাবিদার সে। কিন্তু কপিরাইট ব্যাবস্থা না থাকলে যে কেও আপনার লেখা নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারে ফলে আপনি মেধাশ্রমের উপযুক্ত সম্মান দাবি করতে পারবেন না। যে কারনে কপিরাইট অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কোনোভাবেই কপিরাইটযুক্ত আর্টিকেল থেকে কপি করে আপনার আর্টিকেল লিখবেন না। কারন আপনি যদি কপিরাইটযুক্ত লেখা কপি করে আপনার আর্টিকেলে প্রকাশ করেন তবে আপনার ওয়েবসাইট ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে এবং আপনিও আইনগত জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। যে কারনে সব সময় নিজে চিন্তা করে নিজের ভাষায় আর্টিকেল লিখতে চেষ্টা করুন। এতে আপনার লেখা মৌলিক ও অনন্য হবে এবং পাঠক লেখার প্রতি আকৃষ্ট হবে। এবং আপনি নিজেকে লেখক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন।
আরো পড়ুনঃ আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ সংগ্রহ করুন ফ্রিতে
উপসংহারঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সমূহ
এই আর্টিকেলে বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমরা জানলাম। এসব নিয়ম গুলো মেনে বাংলা আর্টিকেল লিখা হলে তা মানসম্পন্ন এবং দৃষ্টিনন্দন আর্টিকেল হবে। এভাবে নিয়মিত নিয়ম মেনে বাংলা আর্টিকেল লিখতে খাকলে আপনিও একদিন হয়ে উঠবেন দক্ষ লেখক। নিয়ম মেনে আর্টিকেল লেখা হলে তা পঠেকের মনোযোগের পাশাপাশি জ্ঞান বৃদ্ধি করতেও সহযোগীতা করে। সুতরাং সঠিক নিয়ম মেনে বাংলা আর্টিকেল লিখুন এবং দক্ষ লেখক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের বাংলা উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সকল কিছুই জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি একজন নতুন আর্টিকেল লেখক হয়ে থাকেন আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে। সফল আর্টিকেল লেখক হতে নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া “বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম”- সম্পর্কে যে কোনো মতামত বা জিজ্ঞাসা কমেন্টে বক্সে প্রকাশ করুন। এমন আরও প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত বাংলা আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ।



ইনফোটেক অ্যাডভাইজারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url